কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কিছু কবিতার অংশ।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিদ্রোহী কবি। তাইতো তার প্রায় সব কবিতায় বিদ্রোহী চেতনা ফুটে উঠেছে।তিনি লেখনীর মাধ্যমে তার মনের কথা লিখেছেন অকপটে।
“যেথায় মিথ্যা ভণ্ডামি ভাই করব সেথাই বিদ্রোহ!
ধামা ধরা! জামা ধরা! মরণ-ভীতু! চুপ রহো!
আমরা জানি সোজা কথা,পূর্ণ স্বাধীন করব দেশ!
এই দুলালুম বিজয়-নিশান,মরতে আছি-মরব শেষ।”
বিদ্রোহীর বাণী ( বিষের বাঁশী কাব্য)
“ঐ কাহারা কারাবাসে
মুক্তি হাসি হাসে”
(বন্দী বন্দনা)
” মোরা ভাই বাউল চরণ,
মানিনা শাসন বারণ
জীবন মরণ মোদের অনুচর রে।
দেখে ওই ভয়ের ফাঁসি
হাসি জোর জয়ের হাসি,
অ-বিনাশী নাইক মোদের ডর রে।।”
(যুগান্তরের গান)
”দেখিনু সেদিন রেলে কুলি বলে এক বাবুসাব
তারে ঠেলে দিলে নিচে ফেলে
চোখ ফেটে এলো জল,এমনি করিয়া
জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?”
(কুলি মজুর)
“কারার ওই লৌহ কপাট
ভেঙ্গে ফেল কররে লোপা “
“মহা বিদ্রোহী রন ক্লান্ত
আমি সেই দিন হবো শান্ত
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্রাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না।”
”মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতুর্য”
”আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল
আমি দলে যাই যত বন্ধন,যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল।
আমি মানি নাকো কোন আইন
আমি ভরা তরি করি ভরাডুবি
আমি টর্নেডো,আমি ভীম ভাসমান মাইন।”
বিদ্রেহী(অগ্নিবীণা)
হিন্দু না মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কাণ্ডরী।বল,ডুবিছে মানুষ,সন্তান মোর-মার।”
(কাণ্ডরী হুশিয়ার)
‘লাথি মার, ভাঙরে তালা।”
যত সব বন্দীশালায়-
আগুণ জ্বালা
আগুণ জ্বালা,ফেল উপাড়ি।”
তিনি নারীদের নিয়ে লিখেছেন-
“খোদার রাজ্যে আজ পুরুষ জালিম
নারী মজলুম।”
”বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।”
“এ বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল,ফলিয়াছে যত ফল
নারী দিল তাহে রূপ-রস,মধু-গন্ধ সুনির্মল।” ( নারী )
“গাহি সাম্যের গান-
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান,
যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-ক্রিশ্চান।”
( সাম্য )
No comments