কর্তৃকারক কাকে বলে ?এর প্রকারভেদ ।।বাংলা গ্রামার।
কর্তৃকারক
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে কর্তৃকারক বলে।
ক্রিয়ার সঙ্গে কে বা কারা যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাকে ,তাই কর্তৃকারক।
যেমন -খোকা বই পড়ে ।কে পড়ে?খোকা-কর্তৃকারক।মেয়েরা ফুল তোলে। কারা তোলে?উত্তর মেয়েরা-কর্তৃকারক।
কর্তৃকারকের প্রকারভেদঃ
ক.বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের বৈচিত্র্য বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কর্তৃকারক চার প্রকারের হয়ে থাকেঃ
১.মুখ্য কর্তা ঃযে নিজে নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করে সে মুখ্য কর্তা।যেমন -ছেলেরা ফুটবল খেলছে।মুষল্ধারে বৃষ্টি পড়ছে।
২.প্রযোজক কর্তাঃ মূল কর্তা যখন অন্যকে কোন কাজে নিয়োজিত করে তা সম্পন্ন
করায় , তখন তাকে প্রযোজক কর্তা বলে।যেমনঃশিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন।
৩.প্রযোজ্য কর্তাঃ মূল কর্তার করণীয় কার্য যাকে দিয়ে সম্পাদিত হয় ,তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলা হয়।শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন।
উপরের বাক্যে ছাত্রগণ প্রযোজ্য কর্তা।
রাখাল গরুকে ঘাস খাওয়ায়।এখানে "রাখাল " প্রযোজক কর্তা এবং গরুকে "
প্রযোজ্য কর্তা।
৪.ব্যতিহার কর্তাঃকোন বাক্যে যে দুটো কর্তা একত্রে এক জাতীয় ক্রিয়া সম্পাদন করে,তাদের ব্যতিহার কর্তা বলা হয় ।যেমনঃ
বাঘে -মহিষে এক ঘাটে জল খায়।
রাজায় -রাজায় লড়াই,উলুখাগড়ার প্রাণান্ত।
কর্তৃকারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার
ক)প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তিঃরহিমা বই পড়ে।
খ)দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তিঃ কাদেরকে যেতে হবে।
গ)তৃতীয়া বা দ্বারা বিভক্তিঃফেরদৌসী কর্তৃক শাহনামা রচিত হয়েছে।
ঘ)ষষ্ঠি বা র বিভক্তিঃআমার যাওয়া হয়নি।
ঙ)সপ্তমী বা এ বিভক্তিঃপাগলে কিনা বলে ,ছাগলে কিনা খায়।
য়- বিভক্তিঃঘোড়ায় গাড়ি টানে।
তে-বিভক্তিঃগরুতে দুধ দেয়।বুল্বুলিতে ধান খেয়েছে।
No comments