কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রবাদ প্রবচন

                                                                   
                                      প্রবাদ প্রবচন
                                       অ
অরাঁধুনির হাতে পড়ে রুই মাছ কাঁদে-অযোগ্য লোকের হাতে পড়ে ভাল জিনিসও নষ্ট হয়।
অর্থই অনর্থের মূল-অর্থের কারণেই যত গোলমালের সৃষ্টি।
অতি দর্পে হত লঙ্কা-অহঙ্কারই পতনের মূল
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট-বেশি লোভে সর্বস্ব হারাতে হয়
অতি চালাকের গলায় দড়ি-বেশি চালাকি করে অন্যকে ঠকাতে গেলে অনেক সময় নিজেকে ঠকতে হয়
অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ-বেশি বেশি শ্রদ্ধা দেখালে বুঝতে হবে যে ভিতরে গুপ্ত রহস্য আছে।
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী-অল্প বিদ্যার অতি দর্প।
অনেক সন্যাসীতে গাজন নষ্ট-অনেক লোক হলে কাজে বিশৃঙ্খলা হয়।
                                       আ
আটে পিঠে দড়,তবে ঘোড়ার উপর চড়-কোনও কাজ  করার যোগ্য না হলে,সে কাজ করতে যাওয়া ঠিক নয়।
অাদার ব্যাপারির জাহাজের খবর-অনধিকার চর্চা করা।
আপনি শুতে ঠাই নেই,শঙ্করাকে ডাকে-নিজের আয় দিয়ে নিজে চলতে পারে না,অথচ অন্যের জন্য খরচ করে।
আমে দুধ এক হল,আঁটি খোসা পড়ে র’ল-যার জন্যে দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে গেল ,সেই অবাঞ্ছিত বলে গণ্য হলো।
আড়ালে লোকে রাজার মাকেও ডাইনি বলে -অসাক্ষাতে অন্যের নিন্দা সবাই করে।
আপনি বাঁচলে বাপের নাম-চাচা আপন প্রাণ বাঁচা
                                        ই
ইঁদুরে চেনে না ভাগবত পুঁতি-মূর্খ ব্যক্তি গুণীর গুণ বোঝে না।
ইটটি মারলে পাটকেলটি  খেতে হয়-পরের অনিষ্ট করলে নিজেরও অনিষ্ট হয়।
                                        উ
উড়ো খই গোবিন্দায় নম:-যে খই হাত থেকে বাতাসে উড়ে গেল তা গোবিন্দের নামে নিবেদন।
উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায়-কাজের আরম্ভ দেখে কাজের শেষ চেনা যায়।
                                        ক
কেউ মরে বিল ছেঁচে ,কেউ খায় কৈ-একের পরিশ্রমে অন্যের বিলাসিতা।
কপাল গুনে গোপাল ঠাকুর-কপালে থাকলে যোগ্যতাহীন লোকও বড় হয়।
কানা গরু বামনকে দান-অকেজো জিনিস দান করে ,দানের পূন্য লাভের চেষ্টা করা।
কাজের বেলায় কাজি কাজ ফুরোলে পাজি-প্রয়োজনের সময় আদর,প্রয়োজন শেষে অবজ্ঞা।
কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে জলে বাস-যার যেখানে প্রভূত্ব সেখানে তার সঙ্গে বিবাদ করে থাকা যায় না।
কারো পৌষ মাস ,কারো সর্বনাশ-একের লাভে অন্যের ক্ষতি।
কেঁচো খুঁড়তে সাপ-তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে বৃহৎ সমস্যার উদ্ভব।
কাঙালের কথা বাসি হলে খাটে-গুরুত্ব না দেওয়া  লোকের কথার দাম বিপদে পরলেই বোঝা যায়।
কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না-সাধনা ছাড়া সাফল্য লাভ করা যায় না।
                                         গ
গোনা গরু বাঘে খায় না-হিসাবের গরু বাঘে খায় না।
গরু মেরে জুতা দান-কারো ক্ষতি করে সামান্য উপকার করা।
গাছেরও খায় তলারও কুড়োয়-একই সঙ্গে একাধিক স্বার্থসিদ্ধি করা।
গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল-অন্যে না মানলেও নিজেকে বড় মনে করা।
                                         ঘ
ঘরের খেয়ে বনের মো্ষ তাড়ানো-নিজের ক্ষতি করে অন্যের উপকার করা।
ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়-বড় বিপদের অভিজ্ঞতা অকারণেই ভীত করে তোলে।
                                          চ
চকচক করলেই সোনা হয় না-চেহারাতে আসল গুণ ধরা যায় না।
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা-অাগে নিজের প্রাণ রক্ষা তারপর অন্যকে সাহায্য।
চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী-উপদেশ দিয়ে অসৎকে সৎ করা যায় না।
চেনা বামুনের পৈতে লাগে না-যোগ্য লোকের জন্য সুপারিশ লাগে না্
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে-ঘটনা ঘটে যাবার পর তা এড়াবার পথ পাওয়া।
চোরে চোরে মাসতুতো ্রভাই-অপরাধীরা একে অন্যের সাহায্যকারী হয়।
                                                              ছ 
ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি-কোন অবাঞ্ছিত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ার আকুলতা।
ছুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনো-দয়াপ্রার্থী হয়ে ঢুকে বিরাট ক্ষতি করে চলে যাওযা।
                                         ঠ
ঠগ বাছতে গাঁ উজোর-যেখানে মন্দের সংখাধিক্য সেখানে ভাল বাছাই করা যায় না।
                                         ত
তপ্ত ভাতে নুন জোটে না,পান্তা ভাতে ঘি-প্রয়োজনীয় কাজ সামলাবার সামর্থ নেই যখন,তখন অপ্রয়োজনীয় কাজে ঝোঁক দেখানো।
তুমি ফের ডালে ডালেে,আমি ফিরি পাতায় পাতায়-চালাকের চেয়েও বেশি চালাকি করা।

                                         দ
দুধের সাধ ঘোলে মেটে না -আসল জিনিসের আনন্দ নকলে পাওয়া যায় না।
দশের লাঠি একের বোঝা-একজনের পক্ষে যা সম্ভব নয় দশ জনের পক্ষে তা অনায়াসেই সম্ভব।
দশ চক্রে ভগবান ভূত-একাধিক লোক মিরে ভালকেও মন্দ বলে প্রতিপন্ন করা্
                                         ধ
ধর্মের ঢাক আপনি বাজে- শেষ পর্যন্ত সত্য প্রকাশ পাবেই।
                                         ন
নেড়া দুবার বেল তলায় যায় না-একই বিপদে মানুষ বারবার পতিত হয় না।
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা-অকেজো লোক কাজের অসাফল্যের জন্য অন্যকে দোষ দেয়।
নুন খায় যার গুণ গাই তার-উপকারীর উপকার করা।
নুন আন্তে পান্তা ফুরোয়-প্রবল দারিদ্রে দিন অতিবাহিত করা।
                                         প
পেটে খেলে পিঠে সয়- লাভের প্রত্যাশায় কষ্ট সহ্য করা।
পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়-অসৎ উপায়ে অর্জি ত ধন অসৎ পথেই ব্যয়িত হয়।
পরের ঘারে বন্দুক রেখে শিকার-অন্যের উপর দায় রেখে স্বার্থ উদ্ধার
                                                              
বিনা মেঘে বজ্রপাত-অকস্মাৎ বিপদ উপস্থিত হওয়া।
বজ্র আটুনি ফস্কা গেরো-ছোটখাট ব্যয়ে কৃপণতা করা অথচ বড় বড় ব্যাপারে এককালীন অধিক ব্যয় করা।
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়-বাপের চেয়ে ছেলের তেজ বেশি।
বসতে পেলে শুতে চায়-কিছু সুবিধা পেলে আরো অধিক সুবিধা দাবি করা।
                                         ভ
ভিক্ষের চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া-দয়ার -দানের ভাল-মন্দ বিচার চলে না।
ভাগ্যবানের বোঝা ভগবানে বয়-ভাগ্যবান লোকের কোথাও আটকায় না।
ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না-টাকা থাকলে কাজের লোকের অভাব হয় না।
                                          ম
মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত- কার্য ক্ষমতার নির্দিষ্ট সীমা।
মরা হাতি লাখ টাকা-মূল্যবাণ বস্তুর কিছু ক্ষতি হলেও বাুকি অংশের মূল্য থাকে প্রচুর।
মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন-কোন কাজ সম্পাদন করার জন্য দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ হওয়া।
                                          য
যে যাই লঙ্কায় সেই হয় রাবণ-ক্ষমতা লাভ করলে সব লোকের স্বভাব এক রকমই হয়।
যত গর্জে তত বর্ষেনা-আড়ম্বর অনুযায়ী কাজ না হওয়া।
যার লাঠি তার মাটি-জোর যার মুল্লুক তার
যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা-যাকে পছন্দ হয় না ,তার প্রত্যেক কাজেই দোষ।
যার জ্বালা সেই জানে-ভুক্তভুগিই যথার্থ দু:খ অনুভব করতে পারে।
                                          র
রাজায় রাজায় যুদ্ধ উলু খাগড়ায় প্রাণান্ত-ক্ষমতাবানদের দ্বন্দ্বের ফলে  সাধারণ লোকের জীবন বিপন্ন হওয়া।
রথ দেখা কলা বেচা-এক ঢিলে দু পাখি মারা
                                          স
সবুরে মেওয়া ফলে-ধৈর্যে সুফল আসে।
সস্তার তিন অবস্তা- সস্তার জিনিস প্রায়ই খারাপ হয়।
সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়-বোকামির কারণে ঝামেলায় জড়িত হয়ে পড়া।
সাপ হয়ে কাটো তুমি,ওঝা হয়ে ঝাড়ো-উভয় পক্ষের পরামর্শদাতা হিসাবে যে কপটতা করে।
সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ ফোড়-সময় থাকতে সাবধান হলে বিপদকালে রেহাই পাওয়া যায়।
সাপের হাঁচি বেদেই চেনে-অভিজ্ঞ লোক আভাস  পেলেই ব্যাপারটা বুঝে নিতে প
                                                              
হাতির পাঁচ পা দেখা-সৌভাগ্য গর্বে অতিশয় বাড়াবাড়ি।                                           
হাতে মারে না ,ভাতে মারে-সরাসরি কোন শত্রুতা না করে অলক্ষে সর্বনাশ করা।





No comments

Powered by Blogger.