সমাস কাকে বলে?এর প্রকারভেদ আলোচনা।
অনেকে বলেন সমাস শিখতে লাগে ছ’মাস।কথাটি একদম ঠিক নয়।ঠণ্ডা মাথায় একটু চিন্তা করলেই আপনি খুব সহজেই সমাস শিখে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি ঠিকমত ব্যসবাক্য ভাঙতে পারেন এবং পদ প্রকরণ বুঝতে পারেন তাহলেই আর সমাস শিখতে ছ’মাস লাগবে না।
সমাস হলো পদের সমন্বয় । কয়েকটি পদের মিলনে সমাস গঠিত হয় । তাই সমাস শিখতে পদ প্রকরণ জানতে হবে।পদ সমপর্কে অন্য দিন আলোচনা করবো।চলুন এবার সমাসকে বিশ্লেষণ করি......
সমাস: পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা বহুপদ মিলিত হয়ে একপদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে।যেমন-
শোকের দ্বারা আকুল=শোকাকুল
সমস্যমান পদ:যে কয়টি শব্দ মিলে সমাস হয় তাকে সমস্যমান পদ বলে।যেমন-সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন
এখানে;সিংহ,চিহ্নিত,আসন হলো সমস্যমান পদ।
ব্যাসবাক্য:যে বাক্য সমস্যমান পদগুলির পরস্পর সম্পর্ক নিরুপণ করে তাকে ব্যাসবাক্য বা সমাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বলে।যেমন-সিংহ চিহ্নিত আসন ।এই শব্দগুলি পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করছে তাই একে ব্যাসবাক্য বলে।
সমস্তপদ:সমস্যমান পদগুলি মিলে যে একটি পদ হয় তাকে সমস্তপদ বলে।যেমন-সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন।এখানে আসন হলো সমস্তপদ।
সমাস সাধারণত ছয় প্রকার:-
১.অব্যয়ীভাব সমাস
২.তৎপুরুষ সমাস
৩.দ্বন্দ্ব সমাস
৪.বহুব্রীহি সমাস
৫.কর্মধারয় সমাস
৬.দ্বিগু সমাস
- ⬑সমাস নির্ণয় এর সময় সমস্ত পদের দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে ।কয়েকটি সমস্যমান পদের সমন্বয়ে সমস্ত পদ গঠিত হয় ।তাই সমস্ত পদে পূর্ব পদ, না পরপদ বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে সেদিকে লক্ষ দিতে হবে ।যেমন সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন , বাস্তবে সিংহ বলতে এক ধরনের প্রাণীকে বুঝায় আর এটি পূর্ব পদ এবং আসন বলতে বুঝায় বসার জায়গা এবং এটি পরপদ।কিন্তু সমস্ত পদে এই শব্দ দুটি মিলিত হয়ে সিংহাসন নামে একটি শব্দ গঠন করেছে এবং যা একটি বসার জায়গা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।এখানে পরপদ আসন প্রধান্য পাচ্ছে।এটি কর্মধারয় সমাস ।এখানে ব্যাস বাক্য ’চিহ্নিত ’ লোপ পেয়েছে।পূর্বপদ সিংহ এবং পরপদ আসন যুক্ত হয়ে সমস্ত পদ ‘সিংহাসন’ হয়েছে এবং এখানে পরপদের অর্থই প্রাধান্য পাচ্ছে।
কীটনাশক ব্যাস বাক্য সহ সমাস
ReplyDelete