কর্মকারক কাকে বলে ?বহু উদাহরণ সহ আলোচনা।
কর্মকারক
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে,তাকে কর্মকারক বলে।
এছাড়া ক্রিয়ার সাথে কি বা কাকে দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তাকে কর্ম কারক বলে।
কর্মকারক দু প্রকার ।
মূখ্য কর্ম বা বস্তুবাচক কর্ম
গৌণ কর্ম বা ব্যক্তিবাচক কর্ম।
যেমন ঃবাবা আমাকে (গৌণ কর্ম)একটি কলম(মুখ্য কর্ম)কিনে দিয়েছেন।
কর্মকারকের প্রকারভেদ
ক)সকর্মক ক্রিয়ার কর্মঃনাসিমা ফুল তুলছে।
খ)প্রযোজক ক্রিয়ার কর্মঃছেলেটিকে বিছানায় শোয়াও।
গ)সমধাতুজ কর্মঃখুব এক ঘুম ঘুমিয়েছি।
ঘ)উদ্দেশ্য ও বিধেয় কর্মঃদ্বিকর্মক ক্রিয়ার দুটো পরস্পর অপেক্ষিত কর্মপদ থাকলে প্রধান কর্মটিকে বলা হয় উদ্দেশ্য কর্ম এবং অপেক্ষিত কর্মটিকে বলা হয় বিধেয় কর্ম।
যেমনঃ
দুধকে(উদ্দেশ্য কর্ম)মোরা দুগ্ধ (বিধেয় কর্ম)বলি,হলুদকে (উদ্দেশ্য কর্ম)হরিদ্রা(বিধেয় কর্ম)।
কর্মকারকের বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার
ক) প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তিঃডাক্তার ডাক ।
খ)দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তিঃতাকে বল।
রে বিভক্তিঃআমারে তুমি করিবে ত্রাণ,এ নহে মোর প্রার্থনা।
গ)ষষ্ঠি বা র বিভক্তিঃতোমার দেখা পেলাম না।
ঘ)সপ্তমীর এ বিভক্তিঃজিজ্ঞাসিবে জনে জনে'।
কতিপয় কর্ম কারকের উদাহরণ....................
চোরাবাজারী দমন করিবে কে? কর্মে শূন্য
জিজ্ঞাসিবে জনে জনে। কর্মে৭মী
ডাক্তারকে ডাক। কর্মে ২য়া
তুমি কি চাও। কর্মে শূন্য
ধৈর্য ধর,বাঁধ বুক। কর্মে শূন্য
আমারে করিয়া লহ তোমার বীণার। কর্মে ২য়া
আমার ভাত খাওয়া হলো না কর্মে শূন্য
সর্বাঙ্গে ব্যাথা ওষুধ দেব কোথা কর্মে শূন্য,অধিকরণে ৭মী
তাস খেলে পড়া নষ্ট করো না কর্মে শূন্য,করণে শূন্য
পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল কর্মে শূন্য,কর্তায় শূন্য
শিশু গণ দেয় মন নিজ নিজ কাজে কর্মে শূন্য,অধিকরণে ৭মী
মীরা বাগানে ফুল তুলিতেছে কর্মে শূন্য
বইখানা ধরো কর্মে শূন্য
পাহাড় নড়ায় সাধ্য কার? কর্মে শূন্য
আমি কখনো ঢাকা দেখি নাই। কর্মে শূন্য
তোমায় দেখলেও পাপ। কর্মে ৭মী
সোনা গলাইয়া গহনা করা হয়। কর্মে শূন্য
গীর্জায় গিয়া যীশু ভজে সে কর্মে শূন্য
কি সাহসে এমন কথা বলিলে? কর্মে ৭মী
প্রাণপণে চেষ্টা কর। কর্মে ৭মী
সে সম্পত্তি নষ্ট করেছে কর্মে শূন্য
তার দেখা পাওয়া দুষ্কর। কর্মে ৬ষ্ঠী
কোথা সে ছায়া সখি কর্মে শূন্য
কোথা সে জল? কর্মে শূন্য
ধূসর ঊষরে কর তুমি অন্ত কর্মে ৭ মী
চোর ধৃত হইয়াছে। কর্মে শূন্য
চাহিনা করিতে বাদ-প্রতিবাদ। কর্মে শূন্য
সমস্ত ভান্ডার খুলিয়া কর্মে শূন্য
সে তিন দিন পথ চলিল কর্মে শূন্য
সারারাত জাগিয়া কাটাইয়াছি কর্মে শূন্য
রাখাল গরু চরায় কর্মে শূন্য
আমারে করহ তোমার বীণা কর্মে ২য়া
বৃথা গঞ্জ দশাননে। কর্মে ৭মী
সে তুর্কি নাচন নাচিল কর্মে শূন্য
এক ক্রোশ ঘুরিয়া তবে বাড়ি পোঁছিলাম। কর্মে শূন্য
এমন চোরের মতো বাঁচা বাঁচিতে চাই না। কর্মে শূন্য
ঘর কৈনু বাহির,বাহির কৈনু ঘর। কর্মে শূন্য
ওই ফুলটি তুলিও না। কর্মে শূন্য
মশা মেরে হাত কালো করো না। কর্মে শূন্য
আমি কখনো গঙ্গা দেখি নাই। কর্মে শূন্য
রানির দর্শন লাভ আমার ভাগ্যে ঘটে নাই। কর্মে ৬ষ্ঠি
এমন অদ্ভুদ জন্তু কেহ কখনও দেখে নাই। কর্মে শূন্য
জাদুকর একটি আলুকে ডিম বানাইল। কর্মে ২য়া,কর্মে শূন্য
তাহার এক সপ্তাহ জ্বর হইয়াছে। কর্মে শূন্য
বাতাস মন্দ মন্দ বহিতেছে কর্মে শূন্য
পাপীকে ধিক। কর্মে ২য়া
আমি তোমা বিনা আর কাহাকেও জানি না। কর্মে শূন্য
এমন মেয়ে তো দেখি নাই। কর্মে শূন্য
বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করো। কর্মে শূন্য
গুরুজনে কর নতি। কর্মে ৭মী
তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ,ক্ষমা কর হজরত। কর্মে ২য়া
সে বছরে ফাঁকা পেনু কিছু টাকা। কর্মে শূন্য
No comments