কর্মধারয় সমাস কাকে বলে?কত প্রকার উদাহরণসহ আলোচনা
কর্মধারয় সমাস
যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের যে সমাস হয় ,এবং যে সমাসে পরপদের অর্থই প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে কর্মধারয় সমাস বলে । এ সমাসের ব্যাস বাক্যে যে ,সে,যিনি ,তিনি ব্যবহৃত হয়।
যেমন-সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন , কাঁচা অথচ মিঠা= কাঁচামিঠা,মহতী যে কীর্তি=মহাকীর্তি ,মহান যে নবী=মহানবী ইত্যাদি।
প্রকারভেদ: কর্মধারয় সমাস ৪ প্রকার:
১.মধ্যপদলোপী
২.উপমান
৩.উপমিত
৪.ও রূপক কর্মধারয়
মধ্যপদলোপী সমাস:যে সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদ লোপ হয় ,তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।যেমন-সাহিত্য বিষয়ক সভা =সাহিত্যসভা,সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন, স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ=স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি।
উপমান কর্মধারয় সমাস:উপমান অর্থ তুলনীয় বস্তু।সাধারণ ধর্মবোধক পদের সাথে উপমান পদের যে সমাস হয় তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে।প্রত্যক্ষ কোন বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোন বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে উপমেয় ও পরোক্ষ বস্তুটিকে বলা হয় উপমান। উপমান ও উপমেয়ের মধ্য একটি সাধারণ ধর্ম থাকবে।যেমন-ভ্রমরের ন্যায় কৃষ্ণ কেশ =ভ্রমরকৃষ্ণকেশ। এখানে ভ্রমর উপাদান আর কেশ উপমেয় এবং কৃষ্ণ সাধারণ ধর্ম।এরকম....
কাজলের ন্যায় কালো =কাজলকালো,তুষারের ন্যায় শুভ্র=তুষার শুভ্র,অরুণের ন্যায় রাঙা=অরুণরাঙা।
উপমিত কর্মধারয় সমাস:সাধারণ ধর্মবোধক পদের উল্লেখ না করে ্উপমেয় পদের সাথে উপমানের যে সমাস হয় তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে।এ সমাসে উপমেয় পদটি পূর্বে বসে এবং সাধারণ গুনটি অনুমান করে নেওয়া হয়্
যেমন-মুখ চন্দ্রের ন্যায়=চন্দ্রমুখ,পুরুষ সিংহের ন্যায়=সিংহপুরুষ।
রূপক কর্মধারয় সমাস:উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে অভিন্ন কল্পনা করা হলে রূপক কর্মধারয় সমাস হয়।এ সমাসে উপমেয় পদ পূর্বে বসে এবং উপমান পদ পরে বসে এবং সমস্যমান পদের ব্যাসবাক্যে ’রূপ ’অথবা ’ই ’যোগ থাকে।
যেমন=মন রূপ মাঝি=মনমাঝি,বিষ রূপ বৃক্ষ=বিষবৃক্ষ ,বিষাদ রূপ সিন্ধু=বিষাদসিন্ধু ।
কৃত্তিবাস কি সমাসের উদাহরণ
ReplyDeleteকৃত্তিবাস--কৃত্তি বাস যার।বহুব্রীহি সমাস
Delete